Advertisement

শুল্ক দফতরের বেড়া টপকাতে ব্যর্থ,সুপার সিক্সের আশা শেষ মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের

News Desk : শুল্ক দপ্তরের বেড়া টপকাতে পারল না মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। উল্টে পরিবর্ত ফুটবলার রৌণক পালের একমাত্র গোলে কাস্টমসের কাছে পরাজিত সবুজ মেরুন। একই সঙ্গে কলকাতা লিগের প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার দৌড় থেকে ছিটকে গেল ডেইজি কার্ডোজোর দল। পরপর দুবছর খেতাবী দৌড়ে ঢুকে ব্যর্থ শতাব্দী প্রাচীন দল। যা মোহনবাগান জনতার কাছে অপমানের। বিএসএসের বিরুদ্ধে পাঁচ তারা জয়ের পরে কাস্টমসের বিরুদ্ধে বিবর্ন ফুটবল সবুজ মেরুনের। নয় নম্বর ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট ঝুলিতে। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ ডেইজি কার্ডোজো বলছেন তাদের কাছে কলকাতা লিগ ডেভলপমেন্ট টুর্নামেন্ট। জেতার ইচ্ছে তাদেরও ছিল। তবে সেটা প্রথম লক্ষ্য নয়। ফুটবলাররা খেলার সুযোগ পাচ্ছেন এটাই প্রধান লক্ষ্য। ডেইজি কার্ডোজোর এই উক্তি নিশ্চিতভাবে সবুজ মেরুন জনতাকে আহত করবে। কারন পরপর দুবার ব্যর্থ হওয়া কোনও দলের জন্য উন্নতির লক্ষণ হতে পারে না। পেশাদারিত্বের ছদ্ম মোড়কে মোহনবাগান ফুটবল আবেগকে মেরে ফেলার চেষ্টা । ডুরাণ্ডের পরে কলকাতা লিগের ব্যর্থতাতেও সবুজ মেরুন কোচ উন্নতির প্রতিশ্রুতির ফাটা রেকর্ড বাজাতে পারেন,যা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়।

বিএসএসের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলের পরে মনে হয়েছিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট কাস্টমস ম্যাচে মরিয়া লড়াই ছুঁড়ে দেবে। অথচ পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে বর্নহীন ফুটবল। মাত্র দু্যো সুযোগ শিবম মুন্ডা,আদিত্য অধিকারীরা তৈরি করতে পেরেছিলেন। প্রথমটি অনাবশ্যক পা ছুঁইয়ে বিলাল গোল পাওয়ার সম্ভাবনায় জল ঢেলেছেন। দ্বিতীয়টি ব্যর্থ হয়েছে কাস্টমস গোলরক্ষকের সৌজন্যে। হোসে মোলিনা তাঁর সিনিয়র দলে লিওয়ান কাস্তানা, রোশন সিং, করণ রাই,সাহিল ইনামদারকে সুযোগ দিয়েছেন। সেখানেই তারা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। কিন্তু লিগে দল বেকায়দায়,সম্মান নিয়ে টানাটানি পরিস্থিতিতে এই ফুটবলারদের কি ছাড়া যেত না?তাতে তো উন্নতিই হত। আসলে ফুটবলারদের গোষ্ঠ পাল সরণির চৌহদ্দি থেকে বের করতে সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্টের অনীহা। তাই ছাতীয় দল হোক বা কলকাতা লিগে নিজেদের লড়াইয়ে মোলিনার দরজা খিল আটা।

বিশ্বজিত ভট্টাচার্যের কাস্টমসের কাছে বুধবারের ম্যাচটি ছিল প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার শেষ সুযোগ। ম্যাচের সংযোজিত সময়ে রৌনক পালের গোলে সেই আশা বেঁচে থাকল । বিশ্বজিত বলছেন আশা জিইয়ে রাখার জন্য জয় জরুরি ছিল। আগামী ম্যাচগুলোতেও একই লক্ষ্য নিয়ে নামবেন। এক গোলে জয় আশা বাঁচিয়েছে তবে সুযোগ নষ্ট নিয়ে চিন্তিত। আত্মীয় বিয়োগ ব্যথা নিয়ে খেলতে নেমে রবি হাঁসদা গোটা তিনেক সুযোগ নষ্ট করেছেন। আরও অন্তত চারটে সুযোগের ফায়দা কাস্টমস পায়নি কারন মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট গোলরক্ষক দ্বিপ্রভাত। গোটা পাঁচেক প্রতিপক্ষের গোলের সুযোগ দ্বিপ্রভাতের হাত বাঁচিয়েছে। রৌনকের গোলটির সময় তিনি যে বলের ফ্লাইট বুঝতে ব্যর্থ তা স্বীকার করেছেন। বারুইপুরের দ্বিপ্রভাত শেষ রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নতমস্তক।

অন্যদিকে রৌনক পাল তাঁর প্রিয় দলের বিরুদ্ধে গোল করতে পেরে খুশি। দাসনগরের ফুটবলার তিন প্রধানের জার্সিতে খেলতে চান। তবে তা যদি সবুজ মেরুন রঙের হয় খুশি হবেন বেশি।

ম্যাচের নায়কের গোল করার ক্ষমতায় খুশি বিশ্বজিত। ফুটবলার জীবনে বিশ্বজিত স্ট্রাইকার ছিলেন। রৌণকের মধ্যে সম্ভাবনা দেখছেন। কোচের ভরসায় নতুন স্বপ্ন রৌণকের মনে।

কলকাতা লিগের অন্য খেলায় সুরুচি জয় পাওয়ায় প্রথম ছয়ের লড়াই জমে গেল।সই জমাটি লড়াইয়ে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের না থাকার সম্বাবনা প্রবল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *