News Desk : সেই অর্থে কেন্দুয়া কোনো পর্যটন কেন্দ্র নয়। অন্যান্য সময় তেমন মানুষের আনাগোনা দেখা যায় না। কিন্তু বর্ষায় প্রচুর মানুষ এখানে আসেন। ছোট্টো একটি গ্রাম! কেন্দুয়া দেখার মতো তেমন কিছু নেই! তবুও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রত্যন্ত গ্রামটি। কারণ প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে, গেরস্থের আঙিনায় রয়েছে কয়েকটি তেঁতুলগাছ। এই কেন্দুয়া গ্রামেই এক গৃহস্থের উঠোনের দু’টি তেঁতুল গাছে প্রতি বছর বর্ষার আগে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বাসা বাঁধে শামুকখোল। অর্থাৎ সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখির দল। বর্ষা শুরু হলেই গাছের ডালে বাসায় ডিম পাড়ে স্ত্রী শামুকখোল। ভরা বর্ষায় ডিম ফুটে বের হওয়া ছানারা এক সময় উড়তে শেখে। হেমন্তের শুরুতে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল ফিরে যায় নিজেদের ডেরায় অন্য কোনও দেশে।
কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা বিধান মাহাতর বাড়ির উঠোনের তেঁতুল গাছে প্রতি বছর এই ‘অতিথি’-দের দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে পরিবেশ। কয়েকশো বছরের পুরনো তেঁতুল গাছগুলি আর আগের মতো শক্তপোক্ত নেই। গাছ ভেঙে পড়লে পাখিরা থাকবে কোথায়! জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের পর্যটনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান চিলকিগড়, রামেশ্বর, বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, হাতিবাড়ি, সীমান্তের চিত্রেশ্বর, লালজলে আদিম মানুষের গুহার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে অতি পরিচিত কেন্দুয়া গ্রামের এই পরিযায়ী পাখিরা। ফি বছর বাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা এদের টানে কেন্দুয়া ছুটে আসেন। তাই স্থানীয়রা পাখির দলকে রক্ষার জন্য প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
















Leave a Reply