চারবছরের চুক্তিতে জয় গুপ্তাকে দলে নিল ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়া থেকে লাল হলুদ জার্সিতে সই করলেন। এফসি গোয়ার হয়ে কালিঙ্গা সুপার কাপ জয় ছাড়াও এবং টানা দুই বছর আইএসএল সেমিফাইনালে খেলেছেন। ইস্টবেঙ্গলে ২৭ নম্বর জার্সি পরবেন জয়।তাঁর যোগদানের খবর ডুরাণ্ড কাপের আগে সামনে এসেছিল। কিন্তু স্বাক্ষর করানোর খবর সামনে আসেনি। সুপার কাপে মাস দেড়েক আগে জয়ের ইস্টবেঙ্গলে যোগদানের খবর সরকারিভাবে জানানো হল। পুনের ছেলে জয় গুপ্তা বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলের জন্য নজর কেড়েছেন। আক্রমণ ও রক্ষণ— সামলানোতে পটু ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের যোগদানে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ শক্তিশালী হল। লেফট ব্যাক হিসেবে খেলা ছাড়াও ডিফেণ্ডার হিসেবেও খেলতে পারেন।এফসি পুনে সিটির একাডেমি থেকে উঠে আসা ফুটবলারটি পর্তুগালে জিডিএস ক্যাসকাইস ও এস্টোরিল প্রাইয়া ‘বি’ এবং স্পেনে এব্রে এসকোলা এসপোরতিভার হয়ে খেলেছেন। ২০২৩ সালের এফসি গোয়াতে যোগ দেন। নিজেকে প্রমাণ করেন। এফসি গোয়ার হয়ে গত দুই মরসুমে ৫২ ম্যাচ খেলেছেন। আইএসএলে ৪২ ম্যাচে ২ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট, ১০টি ক্লিন শিটের পরিসংখ্যান জয়ের দুরন্ত ফুটবলের প্রমাণ দেয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জয় গুপ্তা আইএসএল-এর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন।জয় গুপ্তাকে অবশেষে দলে অর্ন্তভুক্ত করতে পেরে লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজন বলেছেন, “জয় একজন প্রতিভাবান বাঁ-পায়ের ফুল-ব্যাক। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণে অংশ নেওয়ার ক্ষমতা তাকে অপরিহার্য করে তুলেছে।”সই পর্ব শেষে আশ্বস্ত জয় গুপ্তা। বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। কলকাতাতে আমি ভারতীয় দলে প্রথম খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামা আমার কাছে বিশেষ অনুভূতি। দ্রুত মাঠে নেমে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই, ডার্বি খেলতে চাই এবং সমর্থকদের আনন্দ দিতে চাই। জয় ইস্টবেঙ্গল!”সুপার কাপের আগে লাল হলুদ ব্রিগেডের সিনিয়র দলের খেলা নেই। ইতিমধ্যে দিয়ামান্তোকোসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ বিদেশির খোঁজে ইস্টবেঙ্গলের রিক্রুটাররা। শোনা যাচ্ছে নজরে রয়েছে সেনেগালের জাতীয় দলের স্ট্রাইকার। এদিকে ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দল বৃহস্পতিবার কলকাতা ফুটবল লিগের সুপার সিক্সের ম্যাচ খেলতে নামবে। ঘরের মাঠে মরসুমে প্রথমবার খেলতে নামবে লাল হলুদ ফুটবলাররা।
লাল হলুদ জার্সিতে জয়গুপ্তা সরকারিভাবে ঘোষণা করল ইস্টবেঙ্গল
















Leave a Reply