টনসিল ফুলে গলায় কিছুটা ব্যথা হয়েছে। তারমধ্যেই শনিবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী শুরু করে দিয়েছেন পুজো উদ্বোধন। আর চতুর্থী পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী অন্তত ৩০০০ পুজোর উদ্বোধন করবেন – যা সম্ভবত সর্বকালের রেকর্ড। ইউনেসকো ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে কলকাতার পুজোগুলোকে।
পুজোয় তাদের প্রতিনিধিরা প্রতিবারই আসেন, সংযোগ রাখেন। ফলে দেশের তো বটেই, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও পুজোর সময় সেরা ডেস্টিনেশন কলকাতা। সেই ভাবনা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “বিদেশের অতিথিদের যাঁরা আসবেন, বাংলার কৃষ্টি দিয়ে ঘেরা ধানের ছড়া তাঁদের দিও।
যাঁকেই যা দেবে সেটা যেন বাংলায় তৈরি করা হয়। ধানের ছড়া হলে চাষিদের থেকে তা নিয়ে এসো।” আজ, রবিবার চূড়ান্ত ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী।
সারাদিন তাঁর প্রচুর অনুষ্ঠান। রবিবার মহালয়ার পুণ্যলগ্নে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগোবাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশিত হবে দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে। সেটি সেরে দক্ষিণ কলকাতার দু-তিনটি পুজো উদ্বোধনের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ক্লাব চেতলা অগ্রণীর পুজোয় মাতৃপ্রতিমার চোখ আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করার কথা নাকতলা উদয়নের পুজোর। তার আগেই এদিন এবারের পুজোর মূল সুর বেঁধে দিলেন মমতা।
বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের বিজেপি শাসিত রাজ্যে অত্যাচার নিয়েও নিজের অবস্থান মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর উদ্বোধন চতুর্থীর মধ্যে সেরে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তর-দক্ষিণ কলকাতার ছোট-বড় পুজো মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পুজোর উদ্বোধন রয়েছে। বাকি উদ্বোধন জেলায় জেলায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুর করা ১৭টি গানের অ্যালবামও রিলিজ হবে। সে কথা মনে করিয়ে শনিবার বারবার বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি, তার গান, বাংলার মাটির ফসলের মতো বাংলার একান্ত নিজের সম্পদকে রক্ষা করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।















Leave a Reply