Advertisement

তৃণমূলের ৬ প্রতিনিধিদল যাচ্ছে ত্রিপুরা – শঙ্কিত কুনাল বাংলার আক্রমনের পাল্টা ত্রিপুরায় প্রতি-আক্রমন।

সোমবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও ত্রাণ বিলি করতে বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খাগেন মুর্মু উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে নাগরাকাটার দূরবৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হয়।

বিজেপির অভিযোগ আক্রমন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আর তার বদলা মঙ্গলবার ত্রিপুরায় তৃণমূল সদর দপ্তর ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় বিজেপির কর্মীরা। এবার সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ত্রিপুরা যাচ্ছে তৃণমূলর প্রতিনিধি দল।

এই প্রতিনিধি দলে রয়েছে কুণাল ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সুস্মিতা দেব ও সুদীপ রাহা। তারা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। তার পর সেই মতো নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

কুণাল বলেন, ‘আমরা আগরতলা যাচ্ছি। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে জাস্টিফিকেশন দিচ্ছেন যে বিজেপির সাংসদ বিধায়ক উপরে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই।

মুখ্যমন্ত্রী এটা সমর্থন করেন না। তিনি ঘটনার নিন্দা করেছে।… তবে বিজেপিকে দেখতে হবে কেন মানুষ ক্ষেপে রয়েছে। ১০০ দিনের টাকা দেবেন না, আবাসের টাকা দেবেন না। মালিক টাকা দেননি… বাংলাদেশী বলে পুশব্যাক করানোর চেষ্টা হয়েছে… জনপ্রতিনিধিরা এমনি এলাকায় যাননি।

এখন গেছেন। সঙ্গে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাননি। ফটোশ্যুট করতে গেছেন… তারপরও যে ভাবে ত্রিপুরায় হামলা হয়েছে, সেটা দেখতে টিম যাচ্ছে।’ বিজেপি সাংসদের চোখের নিচের হাড় ভেঙে গেছে।

দ্রুত অবস্থার অবনতি ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনা নিয়ে চারিদিকে বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম সকলেই একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়।

যদিও এমন পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে থাকেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও ট্যুইট যুদ্ধে পাল্টা দেন মোদীকে। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং না দেওয়ার করেন আহ্বান।

তার পর মঙ্গলবারই পৌঁছে যান হাসপাতালে খগেন মুর্মুকে দেখতে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খগেনের শারীরিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *