Advertisement

মারতে হলে একেবারে মেরে ফেলুক। নাহলে আমাকে আটকানো যাবে না ”- শঙ্কর ঘোষ

নাগরাকাটার আক্রান্ত ও আহত বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বুধবার হসপিটাল থেকে ছাড়া পেয়েই নিজের এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহ শুরু করেন।

আর বৃহস্পতিবার বলেন, আবার ত্রাণ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। শঙ্কর বলেন, “আবার ওখানেই যাব। আমি ঘরে বসে থাকার পাত্র নই।

মারতে হলে একেবারে মেরে ফেলুক। নাহলে আমাকে আটকানো যাবে না।” ডান হাতে চোট লেগেছে বিধায়কের। এখন তা সাপোর্টে রাখা রয়েছে। সেই অবস্থানেই ত্রাণ সংগ্রহে নেমেছেন তিনি।

সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, “ছুটি তো সেভাবে হয় না, জীবনের ছুটি না মেলা পর্যন্ত ছুটি নেই। কাজ না করলে থাকতে পারি না।

ত্রাণ দিতে গিয়ে মার খেতে হল বলে, আবার ত্রাণ সংগ্রহ করে পৌঁছাব না, এটা আমার স্পিরিট নয়। আবার যাব, প্রয়োজনে ওখানেই যাব। আমি পুরো বিষয়টা দেখছি।

রিলিফ ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টটাকে ঠিক করতে হবে।” ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার প্রথমে ২ জনকে, পরে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতির তরফ থেকে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর তরফ থেকে ছবি মার্ক করে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছিল।

এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শঙ্কর বলেন, “কারা গ্রেফতার হয়েছে জানি না। যদি সঠিক লোক গ্রেফতার হয়, তাহলে বুঝব তদন্ত সঠিক পথে হচ্ছে।” তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ওটা একটা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।

যাঁরা ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প ভাঙচুর করে, রিলিফ দিতে গেলে পেটায়, তাদের রাজনৈতিক দল বলা হলে, রাজনৈতিক দলের অপমান হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *