কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী আজ, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী আবার গেলেন উত্তরবঙ্গে। আর যাওয়ার সময় তিনি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নর জবাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘ঘটনাটিকে কেউ সমর্থন করে না। অত্যন্ত মর্মান্তিক।
তবে ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কীভাবে মেয়েটি ক্যাম্পাসের বাইরে গেল। জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে জানি না।
পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বেসরকারি কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়।
নির্যাতিতা বয়ান দিয়েছেন শুনেছি। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি রাতের বাংলা মহিলাদের পক্ষে নিরাপদ নয় – তা স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী!
এরপরই তিনি অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘বাংলায় এই ধরনের ঘটনায় আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে চলি। ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট বেরিয়ে যায়। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজাও ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু ওডিশার সমুদ্র পাড়ে ৩ জনের ধর্ষণ হয়েছিল কিছুদিন আগেই। কী পদক্ষেপ করেছে সে রাজ্যের সরকার?’ মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘অন্য রাজ্যে ধর্ষিতাকে কোর্টে যাওয়ার আগে রাস্তায় জ্বালিয়ে মেরে দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের ধরে উলঙ্গ করে জেলে ভরে দেওয়া হয়। বাংলায় এসব সহ্য করা হয় না। কিন্তু পুলিশ কীভাবে জানবে রাতে কখন কে বেরোবে! বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে যেন তাঁরা না বেরোয়।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব আছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না।
















Leave a Reply