Advertisement

ফুটবল বিশ্বকাপে “ব্লু সার্ক”,ছয় লক্ষের দেশ বিশ্বকাপের মূলপর্বে—

কুশল চক্রবর্তী-:

ফুটবল বিশ্বকাপে “ব্লু সার্ক”,ছয় লক্ষের দেশ বিশ্বকাপের মূলপর্বে—কুশল চক্রবর্তী ২০২৬ সালে আমেরিকা,মেক্সিকো আর কানাডায় অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপেরমূলপর্বে নিজেদের জায়গা করে নিল পশ্চিম আফ্রিকার এক ছোট্ট দেশ কেপ ভারদে। ১৯৭৫ সালে পর্তুগিজদের থেকে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটা মাত্র ৫লক্ষ ৯৩ হাজার মানুষ নিয়ে প্রথমবারের জন্য ফুটবল বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা করে নিল।এসওয়াতিনিকে (আগের নাম সোয়াজিল্যান্ড)গতকাল রাত্রে ৩-০ গোলে হারিয়ে তারা দেশের ফুটবল ইতিহাসে এক অসামান্য পালক গেথে দিল।আতলান্তিক মহাসাগরে ১০টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই কেপ ভারদে মুলত ক্রিসটানদের দেশ। রাজধানী প্রাইয়ায় মাত্র ১৫ হাজার মানুষ ধরে স্টেডিয়ামে এসওয়াতিনিকে ৩-০ গোলে হারাবার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে সারা দেশের মানুষ। সারা রাত তারা বাজি ফাটিয়ে, হর্ন বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। আসলে পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলের ফুটবলে পরাশক্তি কেমারুনকে ৯ই সেপ্টেম্বর ১-০ গোলে হারাবার পর থেকেই কেপ ভারদে আশায় ছিল যে তারা এবারের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। হলও তাই । “ব্লু সার্ক” নামে খ্যাত এই দল প্রমাণ করল যে দেশীয় কোচের হাত ধরেও বিশ্বকাপের মুল পর্বে পৌঁছানো যায়।ছোট্ট এই দেশটা তাদের ফুটবল শক্তি তৈরি করেছে, তাদের ছোট ছোট দ্বীপ গুলোর মধ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।২০০২ সালে কেপ ভারদে প্রথম জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপেযোগদান করার লক্ষে দল বানায়। সেই চেষ্টার অবশেষে ফল মিলল তাদের স্বাধীনতার ৫০তম বছরে। ২০১৮ সালে্র রাশিয়ার অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আইসল্যান্ড ছিল এমনই একটা দেশ। তাদের জনসংখ্যা তখন ছিল সারে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজারের মত। এবার কেপ ভারদে দ্বিতীয় সবচেয়ে কম মানুষের দেশ হিসাবে বিশ্বকাপ ফুটবলে উঠে এল। কেপ ভারদের বেশীর ভাগ খেলোয়াড় বিদেশের মাটিতে খেললেও, ইউরোপের বড় ক্লাবে এদের দেখা পাওয়া যায় না। তবু তারা প্রমাণ করল যে, সবাই এক হলে যে কি করতে পারে তারা। দেশের এক সময়ের খেলোয়াড় পেড্র “বুবিস্থা” ব্রিট,২০২০ সালে এই দলের কোচ হয়েই শক্ত হাতে দল গঠন করার কাজ করতে আরম্ভ করেন। সুদৃঢ় করেন রক্ষণ ,মধ্য মাঠে আনেন বৈচিত্র আর আক্রমণভাগে জাগান গোল করার ইচ্ছা।দলেরপরিবর্তন দেখা দিতে থাকে আফ্রিকান কাপের নানা খেলায়। কেপ ভারদে দল তখন ড্র করে মিশরের সাথে আর জেতে ঘানার মত দলের বিপক্ষে। এবারের বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং খেলায় তারা যে ১০টার খেলার ধ্যে ৭ টা ম্যাচ জিতেছে, সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছিল যে তারা এবার বিশ্বকাপের মুলপর্বে খেলার জন্যই মাঠে নেমছে। এই দলের ৩৯ বছরের গোলকিপার ভজিনহা খেলার পর বলেন,“এই মুহূর্তের জন্যই তো ছোট্ট বেলা থেকেই অপেক্ষা করেছিলাম”। দলের সেরা গোলকরার লোক লিভ্রামেন্তেও আনন্দে মেতে ওঠেন ।মুলত পর্যটন শিল্পের উপর বেচে থাকা দেশটি এখন ফিফা তালিকায় ৭০তম স্থানে দাড়িয়ে আছে।এখন তাদের লক্ষ বিশ্বকাপের লটারির দিকে, কারন তখন তারা জানতে পারবে কাদের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের বিশ্বকাপের মূলপর্বে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *