Advertisement

ভাঙড়ে মানুষের নিরাপত্তা বাড়াতে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে

বহুকাল ধরেই একটা কথা খুবই প্রচলিত – ‘ভাঙড় আছে ভাঙড়েই’। অর্থাৎ যাই হোক না কেন ভাঙড়ের দুষ্কৃতী তান্ডব সমানে চলেছে।

তাই এবার পুলিশ আরো কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে। থানা এলাকায় টহলদারির জন্যে পুলিশের পিসিআর ভ্যান বা টহলদারি ভ্যান আছে।

প্রয়োজন মতো দুই থেকে তিনটি টহলদারি ভ্যান বিভিন্ন থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল দেয়।

এর বাইরে এআরও বা গুন্ডা-দমন শাখার টিমও টহল দেয়। দরকার মতো মাঝেমধ্যে মোটরবাইক নিয়েও টহল দিতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে ভাঙড়ে এ বার সাইকেলেও টহল দেবে পুলিশ।

ভাঙড় ডিভিশনের ভাঙড় থানা এলাকায় এই টহলদারি শুরু হতে চলেছে। থানা এলাকা ছোট ছোট জোনে ভাগ করে এবং বাজারগুলিতে সাইকেলে টহলদারির ভাবনা রয়েছে।

বেশ কিছুদিন আগে ভাঙড় থানার অদূরে বিজয়গঞ্জ বাজারে খালপাড়ের নির্জন রাস্তায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন তৃণমূল নেতা রাজ্জাক খান। তার আগে ভোরের আলো ফোটার আগে ভাঙড় বাজারে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল এক ভবঘুরেকে।

চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা লেগেই আছে। তাই ভাঙড় বাজার, ঘটকপুকুর, বোদরা–সহ বিভিন্ন বাজারে এ বার থেকে পুলিশকর্মীরা টহল দেবেন সাইকেলে। একটি সংস্থা থেকে সম্প্রতি ১২টি বাই–সাইকেল পেয়েছে ভাঙড় থানা।

ওসি অমিত ঠাকুরের উদ্যোগে সেই সব সাইকেল এ বার রাস্তায় নামতে চলেছে। কোনও কোনও জায়গায় রাত জাগা পার্টির হাতেও সাইকেল তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।

ভাঙড় পুলিশ ডিভিশনের এক কর্তার বক্তব্য, গ্রামীণ এলাকার ছোটখাট গলি, বাজার, সঙ্কীর্ণ রাস্তা, মাঠের রাস্তায় সাইকেলই উপযুক্ত যান।

তা ছাড়া চারটি পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ন্ত্রণে যে পরিমাণ পুলিশ ভ্যান কিংবা বাইক থাকা দরকার, তা-ও নেই। তাই বিকল্প হিসেবে এবং খরচ কমাতে সাইকেলে টহলের পরিকল্পনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *