কারণ দিওয়ালির আগে মাটির প্রদীপে চাহিদা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে, বহু বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা ও চিনা টুনি লাইটে মানুষের অনীহা থাকায় এবার যেন কপাল খুলেছে মাটির প্রদীপ তৈরির সঙ্গে যুক্ত মৃৎশিল্পীদের।
চাকদহ ব্লকের চাদুড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের শিকারপুর, মধ্য চাদুড়িয়া ও কল্যাণী শহরের বুদ্ধ পার্ক ও রথতলা এলাকায় কয়েকটি কুম্ভকার পরিবার রয়েছেন, যাঁরা বংশপরম্পরায় মাটির ছোট-বড় নানা ডিজাইনের প্রদীপ থেকে শুরু করে তুবড়ি তৈরির মাটির ভাঁড় অথবা মাটির বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করে আসছেন।
কালী পুজো এবং দীপাবলীর আগে সেই সমস্ত জিনিসের অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বিক্রিবাট্টা যথেষ্ট বেড়েছে। কিন্তু বাধ সেজেছে বৃষ্টি।
ওই এলাকায় ভারী বর্ষণের ফলে জল জমে যায়। ফলে মাটির প্রদীপ শুকাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের। চাঁদুরিয়া এক নম্বর জিপির উত্তর চাঁদুরিয়া বাসিন্দা শ্যাম পাল বলেন,মাটির প্রচন্ড দাম বেড়েছে, বাড়ছে জ্বালানির খরচ।
আমরা টুনি বাল্বের সাথে পেরে উঠছি না। কিন্তু বাজারে চাহিদা আছে। ডানার কারণে আমরা এবছর সেরকম বানাতে পারিনি। একশো প্রদীপ আমরা বিক্রি করছি ৮০ টাকা। তবে পোড়ানো প্রদীপের থেকেও কাঁচা প্রদীপের চাহিদা বেশি।
আমরা চলে যাওয়ার পরে আমার পরবর্তী বংশধরেরা এ কাজে আর করতে রাজি নয়। যদি সরকার আমাদের দিকে নজর দিত তাহলে মিৎ শিল্পীরা বেঁচে যেত এমনই প্রশ্ন উঠে আসছে মিৎ শিল্পীদের মুখ থেকে।
অন্য চায়না লাইটের বিক্রেতা বিজন নন্দী বলেন, এবারে চাহিদা চিনা প্রদীপ, প্রদীপের ভিতরে একটু জল দিলে অনেকক্ষণ জ্বলে থাকে।
এছাড়া টুনি লাইট এবং বর্তমানে নতুন নতুন লাইটের চাহিদা বাড়ছে। কলকাতার দরে গ্রামে লাইট দিচ্ছি। তবে মাটির প্রদীপ ও চিনা প্রদীপের টানা পড়েন চলছে এবং চলতেই থাকবে।
















Leave a Reply