গঙ্গাসাগরের যাতায়াতের অন্যতন পথ মুড়িগঙ্গা নদী। তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রতি বছর শীতের শুরুতেই ওই নদী ড্রেসিংয়ের কাজ শুরু হয়ে যায়। এবছর ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে পলি তোলার কাজ। খরচ প্রায় ৩২ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এই ড্রেজিংয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৮ কোটি টাকা।
ধাপে ধাপে সেই টাকার পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। নদীর নাব্যতা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা-২০২৬ নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন।
প্রতি বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আয়োজিত হয় গঙ্গাসাগর মেলা। যেখানে লক্ষাধিক তীর্থযাত্রী ভিড় করেন সাগরতটে স্নানের জন্য। তাও মেলার উপযুক্ত পরিকাঠামো, যাত্রীসুরক্ষা, চিকিৎসা, জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তৎপরতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
তবে এবারের মেলাকে কেন্দ্র করে বড় উদ্বেগের কারণ সাগরতটের ক্রমাগত ভাঙন। মেলার নিরাপত্তা, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদার করতে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে প্রশাসন।
জেলার সর্বস্তরের আধিকারিকদের সমন্বয়ে সাগরমেলার প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি হয়েছে। এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় বেশি হবে। কারণ ওই সময়ে কুম্ভমেলা নেই।
কুম্ভমেলা চললে গঙ্গাসাগরে ভিড়ের চাপ তুলনামূলক কম পড়ে। তাই আগামী বছর ভিড় গঙ্গাসাগরে বাড়বে। প্রশাসনের তরফে সেই দিকটি মাথায় রাখা হচ্ছে।
















Leave a Reply