Advertisement

শেষ পর্যন্ত বন্যায় বিদ্ধস্ত আলিপুর দুয়ারের শালকুমার গ্রামের কালীপুজো হচ্ছে

শেষ পর্যন্ত বন্যায় বিদ্ধস্ত আলিপুর দুয়ারের শালকুমার গ্রামের কালীপুজো হচ্ছে দুর্গা পুজোর পরেই ভয়ানক বন্যা ও হড়পা বণে সম্পূর্ণ বিদ্ধস্ত হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মৃত্যু হয় ২৩ জনের। সেই পরিস্থিতিতে বহু জায়গায় কালীপুজো বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কালীপুজো হচ্ছে শালকুমার পুজো। বিপর্যয় কাটিয়ে ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে এলাকা। গ্রামেই কালীপুজোর আয়োজন হয় প্রতিবছর। আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও কি পুজো করা সম্ভব হবে? শেষপর্যন্ত ওই পুজোর আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ ও পুজো কমিটি। পুজোর আয়োজনও সমাপ্ত। এবারে ওই পুজো ১০৩ বছরে পড়ল। এই পুজো নিয়ে কাহিনিও চর্চিত আছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, খাউচাঁদ কার্জি এই পুজোর শুরু করেছিলেন। সেসময় এলাকায় কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। গ্রামের প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। তাহলে কি গোটা গ্রাম উজাড় হয়ে যাবে? সেই আতঙ্ক তাড়া করছিল সেসময়ের গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন খাউচাঁদ। তিনি একদিন স্বপ্নাদেশ পান, জাগ্রত কালীর পুজো করলে এলাকা কলেরামুক্ত হবে। তারপরই পুজো শুরু করেছিলেন তিনি। শতক পেরিয়ে গিয়েছে। সেই পুজো আজও হয়ে চলেছে। তবে এবারের বিপর্যয়ের পর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এলাকার বহু জায়গা প্লাবিত হয়। এবারের বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই এলাকা। চাষের জমি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সেই বিপর্যয়ের পরও গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন পুজো হবে। তারপরই শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি, প্রতিমা তৈরির কাজ। পুজো উপলক্ষে প্রতিবছর মেলার আয়োজন করা হয় এলাকায়। এবারও সেই মেলা হবে বলে খবর। ২০ অক্টোবর কালীপুজোর দিন থেকে মেলা শুরু হচ্ছে। আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত ওই মেলা চলবে। সঙ্গে থাকছে বিচিত্রানুষ্ঠান। সার্কাসের তাবুও পড়বে বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *