Advertisement

রঘু ডাকাতের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল বাঁকুড়ার বড় কালীতলা মন্দিরের পুজো শুরু হয়ে গেলো এ বছরের কালীপুজো।

চারিদিকে উৎসবের মেজাজ। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে বাঁকুড়ার বড় কালীতলা মন্দিরেও চলছে পুজোর কাজ।

শেষ প্রতিমা ও মন্দির সাজানোর কাজকর্ম। এই মন্দিরের পুজো নিয়ে অনেক কাহিনিও রয়েছে। কথিত আছে রঘু ডাকাত এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। মন্দিরে একসময় বিপ্লবীদের গোপন বৈঠকও হত।

মন্দির প্রাঙ্গনে বাতাসে ধূপের গন্ধ। দূরে শোনা যায় ঘণ্টার ক্ষীণ আওয়াজ। দেবীমূর্তির সামনে জ্বলে প্রদীপ। কিন্তু দেবীর মাথায় থাকে না রুপোর মুকুট। জানা যায়, দেবীর এক কেজি রুপোর মুকুট রয়েছে।

আগে সেই মুকুট দেবীর মাথায় শোভা পেত। কিন্তু এখন আর প্রকাশ্যে সেটিকে আনা হয় না। একটি লোহার বাক্সে তালাবন্দি থাকে সেটি। মন্দির চত্বরেও আছে পাহারার ব্যবস্থা।

একাধিক বার ওই মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। কথিত আছে, বহু বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন রঘু ডাকাত। তখন এই এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা, জনশূন্য। আর নিশুতি রাতে শোনা যেত নেকড়ের ডাক।

এক রাতে রঘু ডাকাত নাকি স্বপ্নে দর্শন পান মা কালীর— রক্তবর্ণ চোখ, হাতে ত্রিশূল। রঘু পরদিনই শুরু করেন তন্ত্র সাধনা! সেই থেকেই এই কালীপুজোর শুরু। কারণসুধা, বলি আর মন্ত্রোচ্চারণ মিলেমিশে তৈরি হয় এক গা ছমছমে আবহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *