নিতান্তই একটা পারিবারিক উৎসব। তবে এই উৎসব প্রচলিত হওয়ার পিছনে আছে দুটি পৌরাণিক কাহিনী – যম ও যমুনার কাহিনী আর শ্রীকৃষ্ণ ও শুভদ্রার কাহিনী।
* যম-যমুনার কাহিনী- পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, যমরাজের বোন যমুনা তাঁকে বারবার তাঁর বাড়িতে খাবারের জন্য ডাকতেন, কিন্তু যমরাজ তাঁর কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারতেন না।
ভাইফোঁটার দিন যমরাজ তাঁর বোন যমুনার বাড়িতে নৈশভোজের জন্য পৌঁছন। যমুনা পরম মমতায় তাঁর পছন্দের খাবার তৈরি করলেন।
এতে যমরাজ তাঁর বোনকে বর দিয়েছিলেন যে এই দিনে যে ভাই তাঁর বোনের বাড়িতে খাবার খাবে, তাঁর সমস্ত অসুবিধা দূর হবে। এই কারণে প্রত্যেক ভাইফোঁটায় প্রত্যেক বোনের বাড়িতে খাবারের জন্য যায় ভাইয়েরা।
এই দিনে, বোন তাঁর ভাইকে তিলক লাগায়, আরতি করে এবং তাঁর হাতে দূর্বা রাখে, যা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এটা ভাইয়ের প্রতিটি দুঃখ দূর করার প্রতীক।
এর সঙ্গে বোন তাঁর ভাইয়ের জন্য যম প্রদীপ জ্বালান। যাতে ভাই দীর্ঘায়ু হয় এবং কোনও প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন না হয়।
* শ্রীকৃষ্ণ ও শুভদ্রার কাহিনী – ভাইফোঁটার উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি প্রচলিত কাহিনীতে, কৃষ্ণ যখন নরকাসুরকে বধ করে দ্বারকায় ফিরে আসেন, তখন তাঁর বোন সুভদ্রা তাঁকে মিষ্টি ও ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
সুভদ্রা কৃষ্ণের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাঁর দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করেন এবং সেই থেকেই ভাইফোঁটা উৎসবের সূচনা হয়।
এই ঘটনাটি ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্ককে উদযাপন করার একটি প্রতীকী রূপ। একান্নাবর্তী পরিবারের এই বন্ধন চিরন্তন হয়ে থাকুক এই কামনাই সকলে করেন।
















Leave a Reply