ইডেন গার্ডেন্সে আগের ম্যাচে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাতের বিরুদ্ধে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিলেন ৮ উইকেট। তার মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে এল ৫ উইকেট। শামির দাপটেই খেলার শেষ দিন দুই সেশনে গুজরাতকে উড়িয়ে দিল বাংলা। ১৪১ রানে এই ম্যাচ জিতে চলতি রঞ্জির মরসুমের শুরুটা ভাল হল বাংলার। ঘরের মাঠে পর পর দু’ম্যাচ জিতল লক্ষ্মীরতন শুক্লের দল।
তৃতীয় দিন ছয় উইকেটে ১৭০ রান তোলার সঙ্গেই বাংলা ২৮২ রানে এগিয়ে গিয়েছিল। শেষদিনে আরও চুয়াল্লিশ রান যোগ করে ২১৪রানে পৌঁছে ইনিংস পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৩২৬ রানের চ্যালেঞ্জ গুজরাটের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেন। শেষ দিনে সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরে অনুস্টুপ মজুমদার ৫৮ রানে আউট হন। আকাশদীপ ১৮ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন যা একটি ছক্কা এবং দুটো বাউণ্ডারিতে সাজানো। গুজরাট বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে সিদ্ধার্থ দেশাই সেরা।
গুজরাটকে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট করার জন্য বাংলার বোলার দের চ্যালেঞ্জ হতে পারত “সময়”। গত তিনদিনে মন্দ আলোর জন্য প্রায় পঞ্চাশ ওভার খেলা হয়নি। তাই ঘূর্নিঝড় মন্থার পরোক্ষ প্রভাবে ফের ভরদুপুরে সন্ধ্যা নামলে তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হত।
শামি সোমবার সন্ধ্যায় ইডেন ছাড়ার সময় বলেছিলেন প্রতিপক্ষকে আউট করে দেবেন। কথা রেখেছেন। গুজরাট দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে অভিষেক দেশাইকে ফেরান শামি। শুরুতেই চাপে পড়ে যায় রমেশ পওয়ারের প্রশিক্ষনাধীন গুজরাট। তাদের কাজ আরও কঠিন করেন আকাশদীপ। তাঁর শিকার আরেক ওপেনার আর্য দেশাই। এরপর গুজরাট অধিনায়ক হিংরাজিয়াকে শূন্য রানে ফেরত পাঠান শাহবাজ আহমেদ। ৫৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে গুজরাট যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কায় ভুগছে তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উর্ভি প্যাটেল। বাংলার বোলারদের যে বলের যা প্রাপ্য তা মিটিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এই সময় মনে হয়েছিল বাংলা বোধহয় জয় পেতে সমস্যায় পড়বে। কিন্তু ক্রিকেট দেবতার ভাবনা ছিল অন্য। পেশির সংকোচন সমস্যায় উর্ভি অপসৃত হতেই গুজরাট ইনিংস ভেঙে পড়ে। শাহবাজ আহমেদ এসে এক ওভারে উমঙ্গ কুমার এবং চিন্তন গাজাকে ফেরাতেই বাংলা ম্যাচে ফিরে আসে।
এরপর শামি ম্যাজিক। জয়মিত প্যাটেল,বিশাল জয়সওয়াল,সিদ্ধার্থ দেশাই এবং আরজানকে ফেরান তিনি। এরপর চোট সারিয়ে উর্ভি প্যাটেল ফিরলেও ততক্ষনে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারন হয়ে গিয়েছে। প্রিয়াজিৎ সিং জাদেজা রান আউট হতেই ১৮৫ রানে অল আউট গুজরাট। ১৪১ রানেজয়ের আলো বাংলা শিবিরে। উর্ভি প্যাটেল ১০৯ রানে অপরাজিত। ১২৪ বলে ১৬ বাউণ্ডারিতে সাজানো তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে মরিয়া লড়াই ব্যর্থ। বলা যায় তার চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়াই চতুর্থ দিনের টার্নিং পয়েন্ট।
















Leave a Reply