স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR চালু হয়ে গেলো মঙ্গলবার থেকে। অনেকটা খুশি বিজেপি, কিছুটা বিমর্ষ শাসক তৃণমূল।
প্রশ্ন উঠেছে এই SIR চালু হলেই কি বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি আসন সংখ্যা বাড়িয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে? ইতিহাস কিন্তু বলছে SIR প্রয়োগ করলেই বিরোধীরা জিতে যাবে এমনটা নয়।
২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে SIR-এর সংশোধনের মাধ্যমেই ভোটার তালিকা তৈরী হয়েছিল। কিন্তু তারপর? না তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কোনো সুবিধা করতে পারে নি। মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিল বামফ্রন্টকেই।
তাই বলাই যায়, SIR প্রয়োগ হলেই বিরোধী বিজেপি তরতর করে বিজয় মুকুট পড়বে – এমন ধারণা অতিরঞ্জিত। আমাদের স্মরণে আছে ২০০২ সালে SIR ঘোষণা হবার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বাহু নৃত্য করেছিলেন।
কিন্তু ভোট বাক্সে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায় নি। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কেন SIR নিয়ে এতো উদ্বাহু নৃত্য করছে রাজ্য বিজেপি! কেনইবা হুঙ্কার দিচ্ছে মমতা, অভিষেক সহ কুনাল ঘোষ।
বিজেপির ধারণা SIR এর মাধ্যমে এমন প্রচুর নাম বাদ যাবে তারা আদৌ ভারতীয় নাগরিক নয়। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের মতে এবার প্রায় এক কোটির বেশি মানুষের নাম বাদ যাবে ভোটার তালিকা থেকে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও প্রায় একই কথা বলেছেন। এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, অবৈধ ভোটার যারা, তারা রোহিঙ্গা হোক আর বাংলাদেশি হোক তাদের নাম বাদ দেওয়াই SIR এর মূল উদ্দেশ্য।
তাছাড়াও এই SIR এর মাধ্যমে মৃত ভোটার, যারা অন্যত্র চলে গেছেন, তাদের নামও বাদ দেওয়া হবে। সামগ্রিকভাবে পাওয়া যাবে একটা নির্ভুল ভোটার তালিকা।
সেই ভোটার তালিকা হাতে নিয়েই মুখোমুখি লড়াই হবে তৃণমূল ও বিজেপির। তারপর মানুষ বিচার করবে! ছেড়ে দিতে হবে জনতা-জনার্দনের হাতে।
















Leave a Reply