গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুই দলের সাফল্যেই লুকিয়ে শেষ চারের টিকিট। সেখানেই বাজিমাত অস্কার ব্রুজোর। গোয়ায় ইস্টবেঙ্গলের ট্যাকটিক্যাল ফুটবলের সামনে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট নতজানু। ম্যাচ গোলশূন্য। তবে গোল পার্থক্যের সুবিধা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল শেষ চারে। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের সুপার কাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। অস্কার ব্রুজো যখন শেষ চারের টিকিট পেতে পাঁচ বিদেশি সমৃদ্ধ একাদশ নামালেন তখন ম্যাকলারেনকে সামনে রেখে অলড্রেট এবং আলবার্তোকে নিয়ে তিন বিদেশিতে প্রথম একাদশ হোসে মোলিনার। সবুজ মেরুন হেডস্যারের দল সাজানো নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। রক্ষন সামলে আক্রমন হানার ছকে ইস্টবেঙ্গলের দাপট। জয় পাওয়ার জন্য অযথা তাড়াহুড়ো নয়। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে নিয়ন্ত্রনে বাজিমাত । প্রথমার্ধে বিপিন সিংয়ের হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়া ছাড়া মিগুয়েলের জোরালো শট বাঁচান বিশাল কাইথ। আপুইয়ার একমাত্র শট ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রোভসুখন গিলের হাতে জমা পড়ে। তবে বলতেই হবে প্রথমার্ধের নিয়ন্ত্রন লাল হলুদের পায়ে। মাঝমাঠে মিগুয়েল,রশিদ,ক্রেসপোর দাপটে সবুজ মেরুন আক্রমন ডানা মেলেনি। রাকিপ এবং জয় গুপ্তার কড়া ট্যাকেলে মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসো নিস্প্রভ। একাধিক চোরাপোপ্তা ফাউল এবং কড়া ট্যাকেলে দুই দলের খেলা প্রত্যাশিত মানে পৌঁছয়নি। তা সত্ত্বেও বলতেই বিরতির আগে নিয়ন্ত্রক লাল হলুদ। বিরতির পরেও দাপট লাল হলুদের। বল দখল থেকে রক্ষনের বোঝাপড়ায় অস্কারের ছেলেরা অদৃশ্য কম্পোজারের নির্দেশে সবুজ মেরুন আক্রমনকে থামালেন। যার সামনে বল সরাবরাহের অভাবে ম্যাকলারেন দিগভ্রষ্ট। লিস্টন,সাহালকে তুলে নিতে হল। পেত্রাতোস,কামিন্সকে নামিয়ে লাল হলুদ প্রাচীরে ফাটল ধরাতে পারেনি মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। এমনকি দলগত উদ্বুদ্ধকারী ফুটবলে নবাগত হিরোশিও নাছোড় ফুটবল খেললেন। ফলে নির্ধারিত সময়ের অল্প সময় আগে সওল ক্রেসপো চোট পেয়ে বাইরে চলে চলে গেলেও শৌভিক সামলে দিলেন অনাসায়ে। শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার পরে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।
সুপার ডার্বি গোল শূন্য ড্র,মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে থামিয়ে শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল
















Leave a Reply