Advertisement

অকাল বর্ষনে ধানচাষের ব্যাপক ক্ষতি বাঁকুড়ার কৃষকদের

বাঁকুড়ায় মন্থার তেমন প্রভাব পড়ে নি। তবে কিছুটা হলেও ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বাঁকুড়ার কৃষকদের। মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকা ধান।

শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ফলে এখন কার্তিকের এই বৃষ্টিতে পাকা ধান নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলু চাষও পিছিয়ে যেতে পারে।

হাওয়া অফিসের এই আশঙ্কা যে ক্রমেই সত্যি হচ্ছে তা বর্তমানে একাধিক জেলায় চোখ যেতেই ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই বাঁকুড়ার নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।

আর তাতেই হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে মাঠে শুয়ে পড়েছে পাকা ধানের গাছ। ভরা মরসুমে মাথায় হাত চাষীদের। এদিকে চলতি মরসুমে মোটামুটি ঠিকঠাক সময়েই এসেছিল বর্ষা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিও হয়েছিল।

ফলে অন্য বছরের তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল আমন ধানার চাষ। এদিকে এবার শুরু হয়ে গিয়েছে ধান কাটার মরসুম। আর ঠিক তার আগেই অকাল বৃষ্টি কার্যত মই দিয়ে গেল পাকা ধানে।

কৃষকরা বলছেন বৃষ্টি তো হচ্ছেই কিন্তু তার সঙ্গে চলা দমকা ঝোড়ো হাওয়াই সবথেকে বেশি চাপ তৈরি করছে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোতুলপুর, জয়পুর, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, পাত্রসায়ের, ইন্দাসে মতো এলাকার কৃষকরা।

সর্বত্রই হেক্টরের পর হেক্টর জমির ধান জমিতেই শুয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি দেখে আক্ষেপের সঙ্গেই কৃষকরা আশঙ্কা করছেন এর ফলে চাষের ফলনে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লোকসান হতে পারে। এদিকে কৃষকদের অনেকেই আবার সমবায় বা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *