Advertisement

ইস্টবেঙ্গলে ফাগুন, কলকাতায় সুপার কাপ সেমিফাইনাল খেলতে আবেদন

ডার্বি ভুলে সুপার কাপে সেমিফাইনালে চোখ অস্কার ব্রুজোর। বিমান বিভ্রাটে কলকাতা ফিরে আসার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। পরে বিমানের সমস্যায় শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান দলের সঙ্গেই একই বিমানে কলকাতা যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের স্বদেশি-বিদেশি ফুটবলাররা। গতকালের ডার্বিতে রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ফুটবলাররা বিমানবন্দরে বসেও সেইসব ভুল নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে ডার্বি পেরিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছন সম্ভব হওয়াতে সবকিছু অতীত। এদিকে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই মাঠে হেড অফ ফুটবল সিংবই সিংটোর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সারেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। পরে টিম হোটেলে কোচ অস্কার ব্রুজোর সঙ্গেও কথা বলেন। চলতি সুপার কাপের সেমিফাইনাল চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আয়োজিত হতে চলেছে এবং ফাইনাল সম্ভবত ডিসেম্বর মাসে। গোয়ায় ২৫ অক্টোবর থেকে ২২জানুয়ারি পর্যন্ত সুপার কাপ হওয়ার কথা থাকলেও তার সময়সীমা পরিবর্তন হয়েছে। তবে কবে পরিবর্তিত সূচি ঘোষণা হবে তা জানানো হয়নি। গোয়ায় সুপার কাপ আয়োজিত হলেও দর্শক সমাগম হয়নি। তাই সেমিফাইনাল কার্যত ফাঁকা গ্যালারির সামনে খেলার বদলে কলকাতায় খেলতে চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এদিকে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পরেই লাল হলুদ সাজঘরের গুমোট পরিবেশ উধাত্ত। অথচ গত শনিবার ডেম্পোর বিরুদ্ধে সুপার কাপের প্রথম ম্যাচটি ড্র করার পর, পৃথিবীর সবথেকে খারাপ কোচের তকমা পেয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় ডার্বির সাফল্যের পরে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কোচ হয়ে গেলেন তিনি। চেন্নাইয়নের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয়ের কারণে, সুপার কাপের ডার্বিতে খেলতে নামার আগে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন তিনি। ড্র করতে পারলেই সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করার সুবিধে ছিল তাঁর দলের কাছে। আর ডার্বিতে সেটাই করে দেখালেন মিগুয়েল, রশিদরা। এবং তা করলেন ইতিবাচক ফুটবল খেলে। ভয়ডরহীন ফুটবল উপারে। অস্কার ব্রুজো বলেছেন, “দলকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। তাই কিছুটা চাপের মধ্যে ছিলাম আমরা। তবে আমি জানতাম ফুটবলারদের নিয়ে কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে। যা ফলাফল হয়েছে তাতে আমি খুশি।” ডার্বি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মহম্মদ রশিদ। সুপার কাপের সেমিফাইনালে যেতে পেরে যথেষ্ট খুশি তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, “দল ডার্বিতে দারুন পারফরম্যান্স করেছে। সেখানে অনেকটাই কৃতিত্ব কোচের। তিনি সবসময় আমাদের উজ্জীবিত করেছেন। সেই কারণেই আমরা এই ফুটবলটা খেলতে পেরেছি।”লাল হলুদ রক্ষনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ধারাবাহিক ভাবে পালন করে চলে আনোয়ার আলি। ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় তিনি জানিয়ে গেলেন, “গ্রুপের অন্যতম কঠিন ম্যাচে আমরা ভাল ফুটবল খেলেছি এবং সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করেছি। এবারে আমাদের লক্ষ্য সুপার কাপের শেষ দুটি ম্যাচেও জিতে ট্রফি ঘরে তোলা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *