জাতীয় কংগ্রেস ও ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে বহুদিন যুক্ত ছিলেন মইনুল হক। তিনি প্রথম জীবনে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। রবিবার ভোরে ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক।
এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখেছেন, ‘উনি ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন এবং গত কয়েক বছর ধরে দলের উচ্চ পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।’
ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এলাকায়। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। প্রথমবারেই সাফল্য পান।
এরপর পরপর পাঁচবার ফরাক্কা বিধানসভা কেন্দ্র করে জেতেন তিনি। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে ভোটে লড়লেও জিততে পারেননি। তৃণমূলের কাছে পরাজিত হন তিনি। সেই বছরই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
কিন্তু ইতিমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পারেন। জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হন মইনুল হক। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রবিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমার রাজনৈতিক সহকর্মী মইনুল হকের প্রয়াণে গভীর শোকজ্ঞাপন করছি।
তিনি ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন এবং গত কয়েক বছর ধরে দলের উচ্চ পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।’
















Leave a Reply