ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবল বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আকাশ দাস। রবিবার আকাশেকে ডেকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করে আটক করা হয়। অবশেষে আজ ভোর রাতে আকাশেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মর্মে আজ, সোমবার দুপুর দুটোর সময় লালবাজারের পুলিশের সদর দফতরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার বলেন,“অনেকদিন ধরেই অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টির ওপর নজর রাখা হয়েছিল। একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে রবিবার লালবাজারে ডাকা হয়। তারপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কতগুলো ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে তা এখনই বলছি না। আকাশ দাসের পাশাপাশি রাহুল সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে কলকাতা ফুটবল লিগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে এক ক্লাব কর্তাকে আটক করল কলকাতা পুলিশ। লিগে বেশ কয়েক বছর ধরে ম্যাচ ফিক্সিং বেড়েই চলছিল। এই ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধ করার জন্য গত বছর আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত ও সভাপতি অজিত ব্যানার্জি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর তদন্ত চলছিল। এই প্রসঙ্গে খিদিরপুর ক্লাবের সচিব অমিতাভ বিশ্বাস জানিয়েছেন,“গত তিন বছর আমাদের ক্লাবের দল গড়ে দিত। এখন ময়দানে কিছু এজেন্ট রয়েছে যারা সংশ্লিষ্ট ক্লাবের বরাত নিয়ে দল গড়ে দেয়। আর্থিক চুক্তির ভিত্তিতে এরা কাজ করে। তিনবছরে দল যে খারাপ গড়েছে তা কিন্তু নয়। আমাদের ক্লাবের আগে এরিয়ান ক্লাবের দল গড়ার কাজে ছিল। সেখান থেকে আমাদের ক্লাবের দল গড়ার ভার নিয়েছিল। সেই ছেলে যে এই কাজ করবে তা জানতে পারিনি। আমাদের ক্লাবের ইতিহাস ঐতিহ্য সবেরই ক্ষতি হল বিরাটভাবে। ”আকাশ দাস আদতে বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা। বাবা একজন বিদ্যুৎ সংস্থার কনট্রাক্টর। আকাশ দাস ফুটবল উৎসাহী এবং ময়দানের বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকেন। তাই বিশ্বাসযোগ্য মুখ। খিদিরপুর ক্লাবের সচিব বলছেন বারো আগষ্ট তারা শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। তারপর থেকে আকাশ দাসের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। আইএফএ একজন ফুটবলারের বিষয়ে আমাদের জানিয়ে ছিল। কারন তার আচরণ না কি সন্দেহজনক। তাই না খেলানোর জন্য চিঠি দিয়েছিল। তারপর থেকে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকেও ক্লাবে না আসতে বলেছিল বলে জানিয়েছেন অমিতাভ বিশ্বাস। সমগ্র ঘটনায় খিদিরপুর ক্লাব কর্তৃপক্ষ এতটাই বিব্রত যে আগামী বছর শক্তিশালী দল না গড়ার সিদ্ধান্ত কার্যত নিয়ে ফেলেছে। সব মিলিয়ে ময়দানে প্রথমবার ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ পুলিশের তদন্তের আওতায় আসল এবং কোনও ব্যক্তি গ্রেফতার হল।সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত এবং সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ২০২৩ সাল থেকে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএফএ। মনোজ ভার্মা নগরপাল হওয়ার পরে এই তদন্তে গতি পায়। এবং গত শুক্রবার তার কাছ থেকে এই ব্যাপারে চুড়ান্ত আশ্বাস মেলে। দুই অভিযুক্তের গ্রেপ্তারী অভিযোগের ফসল। এবং আগামী দিনে আরও কিছু নাম আসবে। খিদিরপুর ক্লাব এবং মেসারাস ক্লাব এই অভিযোগের দায় এড়াতে পারেনা বলে আইএফএ সচিব জানিয়েছেন। এবং শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিষয়টি আলোচনা হবে। যতদিন অভিযুক্তরা স্বচ্ছতা প্রমান করছেন ততদিন দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আইএফএ।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই,সংশ্লিষ্ট ক্লাবদের নির্বাসনের ইঙ্গিত আইএফএর
















Leave a Reply