Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে শুবমান গিল

ইডেনের উইকেট নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় টিম ইন্ডিয়াএক স্পিনার না তিন অলরাউন্ডার? অক্ষর-পূজারা কুলদীপের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ম্যাচের আগেকলকাতা: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ইডেন গার্ডেন্সে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ভারতীয় অধিনায়ক শুবমান গিল। সিরিজের গুরুত্ব, দলের প্রস্তুতি, নিজের দায়িত্ব—সব বিষয়েই খোলামেলা কথা বললেন তিনি।গিল বলেন, “এই দুইটা টেস্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর উপর নির্ভর করছে আমাদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল যোগ্যতা। দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন দল, ওদের হারানো সহজ নয়। তবে পরিস্থিতি কঠিন হলে আমরা আগেও সামলেছি। উইকেটটা একেবারে ভারতীয় ধাঁচের।”ভিন্ন ফরম্যাটে খেলার চ্যালেঞ্জ:“অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে কয়েক দিনের মধ্যেই লাল বলে নামা মানসিক ও শারীরিকভাবে কঠিন। কিন্তু একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে সেটা মানিয়ে নিতে হয়,” বলেন গিল।কলকাতায় খেলার স্মৃতি:“কলকাতার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আইপিএলে আমার সূচনা এখান থেকেই। ছ’ বছর আগে দলে ছিলাম, খেলিনি। সেটা ছিল ডে-নাইট টেস্ট। এখন একই মাঠে অধিনায়ক হিসেবে নামছি, অন্যরকম অনুভূতি।”অলরাউন্ডারদের ভূমিকা:“আমাদের দলে এমন অনেক অলরাউন্ডার আছে যারা ব্যাট ও বল দুইয়েই কার্যকর। ওরা সবাই ম্যাচ জেতানোর মতো ক্রিকেটার। টেস্টটা উত্তেজনাপূর্ণ হবে,” মন্তব্য গিলের।দলের কম্বিনেশন নিয়ে:“প্রায় নির্ধারিত হয়ে গেছে দল। এখানে সকালে ও সন্ধ্যায় আলো কমে দ্রুত, তাই পেসাররা সুবিধা পাবে। তবে ভারতে স্পিনাররাই শেষ কথা বলে। স্পিনারদের গুণমানই ম্যাচ নির্ধারণ করবে।”মোহাম্মদ শামির অনুপস্থিতি নিয়ে:“শামি ভাইয়ের মতো মানের বোলার খুব কমই আছে। কিন্তু আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ, বুমরাহ, সিরাজও ভালো পারফর্ম করছে। সিলেক্টররা ভবিষ্যতের সিরিজ মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”পেসারদের ওয়ার্কলোড:“ইংল্যান্ড সিরিজে যেমন দেখা গিয়েছিল, রিভার্স সুইং বড় ভূমিকা নেয়। দেশের বাইরে যেমন ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় বোলারদের বেশি পরিশ্রম করতে হয়, ভারতে পরিস্থিতি আলাদা।”অক্ষর না কুলদীপ?“সবসময় একটা দ্বন্দ্ব থেকে যায়—অতিরিক্ত অলরাউন্ডার নামাব, না অতিরিক্ত স্পিনার। এখন টস-আপ চলছে অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবের মধ্যে,” জানালেন গিল।ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে:“আমি এখনও শিখছি কীভাবে মানসিকভাবে ভারসাম্য রাখা যায়। শরীর ভালো আছে, কিন্তু মানসিকভাবে টানা ভ্রমণ ও ফরম্যাট বদলানো বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এটাও এক রকম শেখার অভিজ্ঞতা,” বললেন ভারতীয় অধিনায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *