ছোট ইনিংস অনেক সময় গভীর অভিঘাত রেখে যায়। যার প্রভাব পড়ে সামগ্রিক ভাবে। ইডেন টেস্টে দক্ষিন আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ইনিংসটা অনেকটা সেইরকম। ইডেন পিচের দ্রুত চরিত্রগত অধঃপতন নিয়ে যখন ক্রিকেট বিশ্ব সমালোচনায় মগ্ন,দোষ ঠেলাঠেলি চলছে তখন ক্রিকেটের মনযোগী ছাত্রের মত রবিবার সকালে ব্যাটিং করে চলেছেন বাভুমা। প্রোটিয়া অধিনায়ক ক্রিকেট কুলের বড় ব্যাটসম্যানের তকমা পাননা। অথচ ইডেন প্রথম অর্ধ শতরানের স্বাদ পেল বাভুমার ব্যাট থেকেই। ২৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাভুমা অপরাজিত থাকলেন ৫৫ রানে। ১৩৬ বলে চারটে বাউণ্ডারিতে সাজানো ইনিংসের একটাই ট্যাগ লাইন “দাঁতচাপা লড়াই”। যার ব্যাখা কোনও বিশেষণে যথেষ্ট নয়। দক্ষিন আফ্রিকা ১৫৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট। ১২৪ রান জয়ের লক্ষণরেখা। রবিবারের ইডেন উপভোগ্য লড়াইয়ের আশায়।
অধিনায়কের পাশে করভিন বশ লড়লেন। সাত রান নয়ে দিন শুরু করে যশপ্রীত বুমরার বলে ২৫ রানে বোল্ড আউট হলেন। ব্যক্তিগতভাবে মূল্যবান ১৮ রান যোগ করে গেলেন। ইডেনে এতদিন চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে কম রান তাড়ার পরিসংখ্যান ছিল ১১৭। দ্বিতীয় দিনের শেষে মনে হয়েছিল ইডেনের “ভ্যাবচ্যাক” উইকেটে সেই পরিসংখ্যানে বদল হবে। কিন্তু বাভুমার নেতৃত্বে দক্ষিন আফ্রিকার নিচের সারির ব্যাটাররা লড়লেন। সাইমন হারমার ব্যক্তিগত সাত রানে ফেরেন মহম্মদ সিরাজের একটু নিচু হয়ে যাওয়া বলে।
তৃতীয় দিনের ভাঙা উইকেটে ব্যাটারদের রানের পাশাপাশি কতগুলো বল খেললেন তা গুরুত্বপূর্ন। বশ সাইত্রিশটি বল খেললেন,হারমার কুড়িটি,কেশব মহারাজ দুটো বল খেলেছেন। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের বেশি সময় খেলল দক্ষিন আফ্রিকা। যা ইডেনের এই বাইশগজের অবস্থা খারাপ করার পক্ষে যথেষ্ট।
ইডেন টেস্ট জিততে ভারতের প্রয়োজন একশো চব্বিশ,ব্যাট হাতে মরিয়া লড়াই বাভুমার
















Leave a Reply