দ্বিতীয় ম্যাচেই থামল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের বিজয় রথ। বৃহস্পতিবার ইউহান জিয়াংদা এর বিরুদ্ধে ২-০গোলে পরাজিত লাল হলুদ। অথচ ম্যাচটি ড্র করতে পারলেই পরের পর্বে চলে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে ইরানের বাম খাতুন এফসি’র বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পাওয়ার পরে মনে হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইউহান জিয়াংদাকে রুখে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে ইস্টবেঙ্গ। কারন এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছে যেত লাল-হলুদ।যা আগে কোনও দিন কোনও ভারতীয় দল করতে পারেনি। চিনের এই দলটি গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। ইস্টবেঙ্গল আক্রমনের ঝড় তুলতে পারে সেই কথা মাথায় রেখে দলের ইউহান জিয়াংদা একের পর এক আক্রমন শানাতে থাকে। যার সামনে লাল হলুদ রক্ষন সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। ১৭ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ফাজিলা-শিলকিরা।প্রসঙ্গত ইউহান জিয়াংদা গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে এফসি নাসাফের সঙ্গে ড্র করে কিছুটা হলেও চাপে ছিল।কারন দ্বিতীয় ম্যাচেও পয়েন্ট নষ্ট করলে পরের পর্বে যাওয়া জটিল হয়ে যেত। তাই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। ঘরের মাঠে খেলার একটা বাড়তি সুবিধাও পেয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তাছাড়াও ইয়াও ইয়েউ, উই হাইয়ান ও ওয়াং শুয়াং প্রথম একাদশে ফেরায় শক্তিবৃদ্ধিও ঘটে তাদের। সাত মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পায় ইউহান জিয়াংদা। বক্সের ভিতর লাল-হলুদ গোলকিপার এলাংবাম পান্থইকে পরাস্ত করেন ওয়াং শুয়াং। ১৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান সেই ওয়াংই। সেই সময় প্রতিপক্ষের ঝোড়ো আক্রমনের সামনে পড়ে ম্যাচে থিতু হতে ইস্টবেঙ্গল বেশ হিমশিম অবস্থার মধ্যে পড়ে। পুরো মাঝমাঠটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল চিনা ক্লাবের। প্রথম আধঘণ্টা সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। কার্যত একটি অর্ধে খেলা হচ্ছিল। ৩৩মিনিটে প্রথম আক্রমণ তুলে আনে অ্যান্থনি অ্যান্ড্রজের মেয়েরা। প্রথম কর্নার পেলেও ব্যবধান কমাতে পারেনি লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে জিয়াংদার।পরিসংখ্যান বলছে বিরতির আগে ৬৬ শতাংশ বলের দখল ছিল চিনা ক্লাবের।দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারত জিয়াংদা।কিন্তু লাল হলুদ গোলরক্ষকের বিশ্বস্ত হাত হতে দেয়নি। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক একাধিকবার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন। ৬৬ মিনিটে গোল লাইন সেভ করেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার। এরপর দুই দলই আর কোনও গোল করতে পারেনি। প্রথম ম্যাচ জিতে আশা জাগানো ইস্টবেঙ্গল চিনের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে পরাজিত। গ্রুপের আরও একটা ম্যাচ রয়েছে বিকেলে। সেই ম্যাচের পর পরিষ্কার হয়ে যাবে পরের পর্বে লাল-হলুদের যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা।একটি গ্রুপ থেকে দুটো করে দল যাবে। তাই ইস্টবেঙ্গলের আশা শেষ বলা যাবে না।
কেনি বেডনারেক বানিজ্যিক দূত,২১ডিসেম্বর কলকাতা ম্যারাথনে দৌড়বে তিলোত্তমা
















Leave a Reply