নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে হিয়ারিং-এ আপনাকেও ডাকতে পারে SIR প্রক্রিয়া দূরন্ত গতিতে চলেছে। ফর্ম বিলি প্রায় শেষ, ফর্ম কালেকশন অনেকটাই হয়ে গেছে।
এর পরেই প্রস্তুত হবে খসড়া তালিকা। কিন্তু খসড়া তালিকায় নাম থাকা মানেই যে তাঁদের হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে না, তেমনটা কিন্তু নয়। কারণ, তারপরই হবে আসল ঝাড়াই বাছাই পর্ব। ৯ ডিসেম্বরের পর ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।
ম্যাপিংয়ের কাজ চলবে। ম্যাপিংয়ে না ম্যাচ করলে সে সময়ে হিয়ারিংয়ের নোটিস যাবে। আর সেই নোটিস পৌঁছে দেবেন বিএলও-রা। ২০০২ সালের তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরা যে তথ্য জমা দিচ্ছেন, ইআরও-এর মনে হলে তাঁদের ডেকে পাঠাতেই পারে।
তখন ওই ১১টি নথির মধ্যে ১টি নথি দেখাতেই হবে। সেই ১১টি নথি হলো – ১. রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হলে তার পরিচয়পত্র
২. আপনার নামে ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগের কোনও পরিচয়পত্র/সার্টিফিকেট/ডকুমেন্ট যা ভারত সরকার বা রাজ্য সরকার দিয়েছে। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসির নথিও গ্রাহ্য হবে।
৩. জন্মের শংসাপত্র।
৪. ভারতের পাসপোর্ট।
৫. স্বীকৃত বোর্ড বা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া শিক্ষা সংক্রান্ত শংসাপত্র। মাধ্যমিকের সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য। যেখানে আপনার জন্মের সাল, তারিখ উল্লেখ রয়েছে।
৬. রাজ্যের দেওয়া পার্মানেন্ট রেসিডেন্স সার্টিফিকেট।৭. বনাঞ্চলে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বন অধিকার শংসাপত্র।
৮. ওবিসি/এসসি/এসটি বা অন্য কোনও কাস্টের হলে কাস্ট সার্টিফিকেট।
৯. জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা NRC (যেখানে চালু হয়েছে)।
১০. রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি ফ্যামিলি রেজিস্টার।
১১. সরকারের দেওয়া জমির নথি, বাড়ির নথি। অর্থাৎ দলিল, পরচা। এছাড়াও ২০০২-এর তালিকায় যাঁদের নিজেদের নাম নেই ও পরিবারের কারও নাম নেই, তাদের হিয়ারিংয়ে ডেকে পাঠাবে কমিশন। সেখানে বৈধ ডকুমেন্ট হিসাবে আধার কার্ড ছাড়া বাকি ১১টি নথির মধ্যে ১টি বৈধ নথি দেখাতে পারলেই এসআইআরের ফাইনাল লিস্টে নাম উঠে যাবে ওই ব্যক্তির।পাশাপাশি প্রত্যেক বুথের বাইরে ভোটারের সংখ্যা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণত এক একটা বুথে ১২০০ বেশি ভোটার থাকার কথা নয়। একই সঙ্গে এসডিও ও বিডিও অফিসের বাইরেও এই তালিকা টাঙানো থাকবে। পাশাপাশি কমিশনের ওয়েবসাইটেও থাকবে নাম।
















Leave a Reply