Advertisement

প্রত্যাশিত ভাবেই ওমানকে হারাল ভারত,রবিবারের পাকিস্তান ম্যাচের প্রস্তুতি সারলেন সূর্যকুমাররা

প্রত্যাশিত ভাবেই ওমানকে হারাল ভারত,রবিবারের পাকিস্তান ম্যাচের প্রস্তুতি সারলেন সূর্যকুমাররা রবিবার পাকিস্তান ম্যাচের আগে দলের সকলকে দেখে নিতে চেয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। ব্যাটিং, বোলিং দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করে দেখলেন তিনি। সেই কারণেই হয়তো চলতি এশিয়া কাপে ওমানকে হারাতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হল ভারতের। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারাতেও এতটা সমস্যা হয়নি সূর্যদের। ওমানকে ২১ রানে হারিয়ে ভারত অপরাজিত থাকলেও সুপার ফোরের আগে কয়েকটি প্রশ্ন উঠে গেল গম্ভীরের সামনে।টস জিতে সূর্যকুমারের ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল, সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য নিজেদের তৈরি রাখতে চাইছেন তাঁরা। ব্যাটিং অর্ডারেও সেই ছবি দেখা গেল। চলতি এশিয়া কাপে এর আগে সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ড্য, অক্ষর পটেলরা ব্যাট করতে পারেননি। ওমানের বিরুদ্ধে সকলেই ব্যাট করলেন। ৮ উইকেট পড়ে গেলেও ব্যাট করতে নামলেন না অধিনায়ক সূর্য।চলতি এশিয়া কাপে বড় রান পাননি শুভমন। এই ম্যাচেও ৫ রানে আউট হলেন। রান পেলেন না হার্দিকও। ১ রানের মাথায় রান আউট হলেন। শিবম দুবে ৫ রানে ফিরলেন। ভারতের তিন ব্যাটারের ফর্ম চিন্তায় রাখবে গম্ভীরকে।অভিষেক শর্মা অবশ্য ছন্দে রয়েছেন। এই ম্যাচেও ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। ১৫ বলে ৩৮ রান করলেন তিনি। ভাল দেখাল সঞ্জু স্যামসনকে। চলতি এশিয়া কাপে প্রথম বার খেলতে নেমে অর্ধশতরান করলেন তিনি। শুরুতে ফয়জ়লের বল খেলতে সমস্যা হচ্ছিল সঞ্জুর। কিন্তু উইকেট দিয়ে আসেননি তিনি। ধৈর্য ধরে খেলেন। কয়েক বল পরে হাত খুলে খেলেন। পর পর উইকেট পড়লেও ভারতের ইনিংসকে সচল রাখলেন সঞ্জু।ভাল দেখাল অক্ষরকে। শেষ দিকে তিলক বর্মার ইনিংস ভারতকে বড় রানে নিয়ে গেল। সঞ্জুর ৫৬, অক্ষরের ২৬ ও তিলকের ২৯ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করল ভারত। ১৮৯ রান ওমানের পক্ষে কঠিন হলেও চেষ্টা করেছে তারা। ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক জতিন্দর সিংহ ও আমির কলিম ৫৬ রান তোলেন। ওমানই আইসিসি-র দ্বিতীয় সহযোগী সদস্য দেশ যারা ওপেনিং জুটিতে ভারতের বিরুদ্ধে ৫০ রান করল।ভারতের বোলিংয়ের শুরু করেছিলেন তিন পেসার। হার্দিক, অর্শদীপ ও হর্ষিত পাওয়ার প্লে-তে উইকেট তুলতে পারলেন না। জসপ্রীত বুমরাহ এই ম্যাচে খেলেননি। ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলিং আক্রমণেও পরীক্ষা করলেন সূর্য। শিবম, তিলক, অভিষেকদের বল দিলেন তিনি। শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ৪৮ রান। যেভাবে ওমানের দুই ব্যাটার খেলছিলেন, তাতে তা অসম্ভব ছিল না। তখনই দুর্দান্ত ক্যাচে কলিমকে ফেরালেন হার্দিক। হার্দিক ক্যাচ ধরতে না পারলে সেটাও ছক্কা হত। ৪৬ বলে ৬৪ রান করলেন কলিম। হাম্মাদ আউট হলেন ৫১ রানে। তাঁরা আউট হওয়ায় ওমানের লড়াই শেষ হয়ে গেল। অনেক চেষ্টা করেও ওমান জিততে পারল না। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করল ওমান। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *