এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত, ৪১ রানে বাংলাদেশকে
হারালেও চিন্তায় রাখবে ফিল্ডিং
বোলারদের দাপটে বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেলেন সূর্যকুমার যাদবেরা। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। বৃহস্পতিবারের পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ সেমিফাইনাল হয়ে দাঁড়াল। সেই ম্যাচ যারা জিতবে তারা রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেখানে ২০০-র বেশি রান হওয়া উচিত সেখানে ১৬৮ রানে থামতে হল ভারতকে।পাকিস্তান ম্যাচের পরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ব্যাট হাতে নায়ক অভিষেক শর্মা। ৩৭ বলে পঁচাত্তর রান করে রান আউট হন। ছয়টি চার এবং পাঁচ ছক্কায় সাজানো ইনিংস যখন সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখাচ্ছে তখনই ছন্দপতন। অভিষেেককে যোগ্য সঙ্গত শুভমান গিলের। ২৯ রান করে ফিরে যান। এইসময় ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ একটু হলেও যেন নড়ে গিয়েছিল। সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা দ্রুত ফিরে যান। এই সময় দলের ইনিংস ফের টেনে তোলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং অক্ষর প্যাটেল। হার্দিকের ২৯ বলে ৩৮ রান না হলে ভারতীয় ইনিংস ছয় উইকেটে ১৬৮ রানে পৌঁছতো না।
প্রত্যুত্তরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিং কখনই দাপট দেখাতে পারেনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৬৯ রান তাড়া করেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধেও সেটাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু ভারত ও শ্রীলঙ্কা এক নয়। সেটা কয়েক ওভারেই বুঝে গেল বাংলাদেশ। লিটন দাস না থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে বড় দায়িত্ব ছিল সইফ হাসানের। তিনি শুরুটা মন্দ করেননি। তবে বাংলাদেশের বাকি ব্যাটারেরা দলকে সমস্যায় ফেললেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছন্দে ছিলেন না জসপ্রীত বুমরাহ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পুরনো বুমরাহকে দেখা গেল। সেই গতির হেরফের। সেই বৈচিত্র। তানজিদ হাসান তামিমকে নিজের দ্বিতীয় বলেই আউট করলেন তিনি। তিন নম্বরে নামা পারভেজ হোসেন ইমন কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন সইফকে। দু’জনের মধ্যে ৪২ রানের জুটি হয়। সেই জুটি ভাঙার পর একাই লড়লেন সইফ।
সইফ ৫১ বলে ৬৯ রান করলেন। তবে তাঁকে সাহায্য করলেন ভারতীয় ফিল্ডারেরা। তিন বার তাঁর ক্যাচ পড়ল। সব মিলিয়ে পাঁচটি ক্যাচ ছাড়লেন ভারতীয় ফিল্ডারেরা। চলতি এশিয়া কাপে মোট ১২টি ক্যাচ পড়ল।
ভারতীয় বোলারেরা দাপট দেখালেন। বুমরাহের পর দলের তিন স্পিনারের সামনে খেই হারাল বাংলাদেশের ব্যাটিং। কুলদীপ আবার উইকেটের মধ্যে ফিরলেন। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। বুমরাহ ও বরুণ চক্রবর্তী ২ করে উইকেট নিলেন। অক্ষর পটেল ও তিলক বর্মা ১ করে উইকেট নিলেন। পুরো ২০ ওভার খেলতে পারল না বাংলাদেশ। ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানে অল আউট হয়ে গেল তারা।
















Leave a Reply