সমালোচনার ঝড় বইছে বাগানে। ডার্বি জিততে না পারার ব্যর্থতায় সুপার কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। কলকাতা লিগ,ডুরাণ্ড কোয়াটার ফাইনাল,সুপার কাপ– যেখানেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে দেখা হয়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট যেন ব্যাকফুটে থেকে শুরু করেছে। টাই ভেঙে আইএফএ শিল্ড জিতলেও ১২০ মিনিটের যুদ্ধে সবুজ মেরুন ফুটবলাররা সর্বাত্মক আধিপত্য দেখাতে পারেনি তা অতিবড় সমর্থকও মানছেন। ফলে শিল্ড জয়ের আনন্দের মাঝেও পারফরম্যান্সের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সুপার কাপে চেন্নাইয়িন এফসিকে দু গোলে হারালেও ডেম্পোর কাছে আটকে যায় মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়। ডার্বিতে না জিতলে বিদায়ে পরিস্থিতিতে ফের হতশ্রী ফুটবল এবং বিদায়। সাংবাদিক সম্মেলনেক্ষোভ উগরে দেন মোলিনা। মোহনবাগান ক্লাব সভাপতি দেবাশিষ দত্ত এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য হোসে মোলিনার স্ট্র্যাটেজির সমালোচনা করেছেন। ইতিমধ্যে হোসে মোলিনা কলকাতায় ফিরেছেন। দলের ফুটবলাররাও ফিরেছেন। বিদেশি ফুটবলাররাও দেশের পথে। ম্যানেজমেন্ট ফুটবল দলকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটি দিয়েছে। কারন সুপার কাপ থেকে বিদায়ের পরে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের সামনে কোনও খেলা নেই। আইএসএল শুরু হলে তা হতে পারে জানুয়ারিতে। পাঁচ ডিসেম্বরের পরে হয়তো ছবিটা পরিস্কার হবে। এই পরিস্থিতিতে সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্ট পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখছে। পাশাপাশি তারা মোলিনার সমালোচনা ভালোভাবে নেয়নি। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যর্থতার দায় ম্যানেজমেন্টের দিকে ঠেলেছেন। বলেছেন, “মরশুমের শুরুতে আমি একজন মিডফিল্ডার চেয়েছিলাম, যে মাঝমাঠে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে হয়তো সেই ফুটবলার দেওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও আমার কোনও অভিযোগ নেই।” একের পর এক মরশুমে ফুটবলার সই করাতে গিয়ে বড় বড় নামের পিছনে ছুটেছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু গ্রেগ স্টুয়ার্টের বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায়নি। পড়শি ক্লাবকে টেক্কা দিতে রবসন রবিনহোকে দলে নেওয়া হয়েছে। আদৌ কি খুশি হোসে মোলিনা। ফুটবলার নির্বাচনের প্রসঙ্গে বিষোদগার বাগান কোচের। বলেছেন, “মোহনবাগানে ফুটবলার নির্বাচনের এক্তিয়ার আমার নেই। আমি প্রথম একাদশ বানাই, ফর্মেশন সেট করি, মাঠে দল নামাই। বাকি কাজ টিম ম্যানেজমেন্ট করে।” একই সঙ্গে সংযোজন, “আমি গত মরশুমে কাপ ফাইনালের পর ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। আমার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেই মত কাজ হয়নি।” ডার্বি ড্র করে মোলিনার পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোচের সাফ জবাব, “সব দল উন্নতি করার জন্য কঠিন পরিশ্রম করছে। সবাই মোহনবাগানকে হারাতে চায়। সেখানে আমাদের থেমে থাকলে চলবে না।”সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্ট মোলিনার এই সমালোচনা উপেক্ষা করছে এমন খবর নেই। ময়দানের খবর হয়তো সোনালি করমর্দন করা হবে হোসে মোলিনার সঙ্গে। আইএসএল যেহেতু দেরীতে তাই নতুন কোচের কাছে সময়ও থাকবে। ময়দানের গুঞ্জন সের্গেই লোবেরার সঙ্গে কথা শুরু করা হয়েছে। সবুজ মেরুনের কোচ বদলের পুরানো রোগ ফিরল না কি?
মোলিনা বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে বাগানে,নতুন কোচ কি সের্গেই লোবেরা?
















Leave a Reply