Advertisement

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে দুদিনের রেকর্ড উইকেট পতন

গত দুদিনে ভারত এবং দক্ষিন আফ্রিকার উইকেট পতনের ধারাবাহিক প্রদর্শনী দেখে অদৃশ্য চাপের স্রোত নিশ্চিতভাবে বয়ে চলেছে। চাপের এই মানসিক স্থিতি এখন দুই শিবিরেই। কারণ উইকেটের চরিত্র যেভাবে বদল হচ্ছে তাতে কত রানের টার্গেট জয় তুলে নেওয়ার জন্য সহজ তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সাত উইকেট হারিয়ে তেষট্টি রানে এগিয়ে দক্ষিন আফ্রিকা। আরও তিরিশ রান যদি অধিনায়ক বাভুমা তাঁর দলের বাকি ব্যাটারদের নিয়ে তুলতে পারেন তাহলে লড়াই জমে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইডেনের পিচ এত তাড়াতাড়ি খারাপ হবে তা ভারতীয় শিবির আশা করেনি। সৌরভ গাঙ্গুলী বলছেন,“ভারতীয় শিবির থেকে যা চাওয়া হয়েছে সেই উইকেট দেওয়া হয়েছে। চারদিন ধরে পিচে জল না দেওয়া হলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।এখন কিউরেটর সুজন মুখার্জীকে দায় ঠেললে তো হবে না। ” ছয় বছর পরে ইডে টেস্ট ম্যাচের আসর। গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেবারও আড়াই দিনের কম সময়ে টেস্ট শেষ হয়েছিল। এবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। অথচ দর্শক পরিপূর্ন টেস্ট ম্যাচে পাঁচদিন ধরে ব্যাটার বোলারদের লড়াই হোক চেয়েছিল সিএবি। দ্বিতীয় দিনে একচল্লিশ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। ঠাণ্ডার আমেজ মেখে রবিবাসরীয় দুপুরে ক্রিকেটীয় উত্তাপ দেখতে আধা লক্ষ মানুষ ভিড় করবে,এটাই ছিল আশা সিএবির। অথচ যা পরিস্থিতি তাতে সেই আশা কার্যত নেই। হয়তো প্রথম দুঘণ্টাতেই ম্যাচের যবনিকা পতন হবে। যা টেস্ট ক্রিকেটের ভালো বিজ্ঞাপন বলে মনে করছে সিএবি। এই নিয়ে প্রেসিডেন্ট থেকে সিএবির সকল কর্তা হতাশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *