Advertisement

হাসিনাপুত্র জয় স্পষ্ট বলছেন, ‘ভারত কখনোই হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে না’ এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে এটা গভীর প্রশ্ন যে, এখন ভারত কি করবে? সাধারণভাবে আমরা জানি, ভারতের কাছে কেউ আশ্রয় নিলে ভারত তাকে ফেরায় না।

কিন্তু হাসিনার বিষয়টা অন্য! বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে? প্রত্যর্পণের অনুরোধে কীভাবে সাড়া দেবে ভারত সরকার? জানালেন হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। একইসঙ্গে জানালেন, দিল্লি হামলার নেপথ্যে বাংলাদেশের লস্কর জঙ্গিদের হাত রয়েছে।

সংবাদ সংস্থাকে জয় বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারত সরকার জানে এই মুহূর্তে তাদের কী করা উচিত। প্রত্যর্পণের চাপ কীভাবে সামলানো উচিত, তা ওরা ভাল ভাবেই জানে। আমার মনে হয় না ভারত সরকার এই ধরনের বেআইনি অনুরোধে সাড়া দেবে।

ভারতের গণতন্ত্রের উপর আমার আস্থা আছে।’ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেড জয় মনে করছেন, ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে জামাত-এ- ইসলামের বাড়বাড়ন্ত এই মুহূর্তে ভাবাচ্ছে ভারতকে।’

পাকিস্তানপন্থী জামাতরা যে ভারতের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে তাতে সন্দেহ নেই। আবার এটাও ঠিক, হাসিনা প্রথম থেকেই পাকিস্তান বিরোধী ও ভারত পন্থী। এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের ভূমিকা।

হাসিনাপুত্র আরো বলেন, জামাত-এ- ইসলাম সর্ববৃহৎ ইসলামিক দল। বাংলাদেশে যে মুহূর্তে হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনানো হয়েছে, তখনই জেল থেকে ছাড়া হয়েছে ১০ হাজার জঙ্গিকে। পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবাও বাংলাদেশে অপারেট করা শুরু করেছে।

দিল্লিতে সম্প্রতি যে জঙ্গি হামলা হয়েছে তার যোগসূত্র মিলেছে বাংলাদেশে তৈরি লস্করদের শাখার সঙ্গে। বাংলাদেশে এই জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়েই সম্ভবত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বিগ্ন।’ ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জয় জানিয়েছেন, হাসিনার শাস্তি ‘বিচারের নামে প্রহসন’।

গোটা বিচার প্রক্রিয়াটিই ভুয়ো ছিল বল অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, ‘সকলেই বুঝে গিয়েছেন, এই রায়দান আগে থেকে ঠিক করা ছিল।

দ্রুত ট্রায়াল করা হয়েছে। ১০০ থেকে ১৪০ দিনের মধ্যে ট্রায়াল শেষ করা হয়েছে। অনির্বাচিত, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক একটি সরকার আইন সংশোধন করেছে। সংসদ ছাড়া এ ভাবে আইন সংশোধন করা যায় না।’

তার বিশ্বাস ভারত কখনোই বাংলাদেশের হাতে হাসিনাকে তুলে দেবে না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যাবর্তনের এমন কোনো চুক্তি নেই যাতে ভারত বাধ্য হয়ে হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *