News Desk : শুল্কযুদ্ধে ট্রাম্পের দাদাগিরি এবার বন্ধ হয়ে হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সিঙ্গাপুরে মোদী পুতিন ও জিং পিয়াং আলোচনায় বসছেন। স্বাভাবিক কারণেই ট্রাম্পের দাদাগিরি এবার কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ায় প্রথম দফায় ২৫ শতাংশ, পরে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর আরও ২৫ শতাংশের শুল্কবোঝা চাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার থেকেই সেই শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আচমকা সুর নরম করল আমেরিকা। বুধবার ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ হোয়াইট হাউস কর্তা তথা মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে শীঘ্রই সহবস্থানে আসব।” এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কট বলেন, “লিবারেশন দিবসের পরেই ভারতের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আমি ভেবেছিলাম মে বা জুন মাসের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে চুক্তির আগেই ভারতের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়ে যাবে। আমার মনে হয়, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে মুনাফা লাভের বিষয়টিকে নয়াদিল্লি বেশি প্রধান্য দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, মার্কিন শুল্কবাণের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের পোশাক উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি। জানা যাচ্ছে, শুল্ককোপে দেশের একাধিক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এসসি রালহান বলেন, ”বিপুল পরিমাণ এই শুল্ক চাপানোর জেরে তিরুপুর, নয়ডা, সুরাটের বস্ত্র উৎপাদন সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এবার শঙ্কিত হয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এখন দেখার কবে তিনি ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
















Leave a Reply